তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ...’ রবি ঠাকুরের দুই বিঘা জমির উপেনের সেই উক্তি যেন ফিরে ফিরে আসছে বাগানে। যুবভারতীতে আইএসএলের প্রথম ম্যাচ। ঘরের মাঠে সবুজ-মেরুনের দর্শকসংখ্যা দেখলে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। ‘ব্রেক দ্য মার্জার’ স্লোগানের ঢেউয়ের ধাক্কা গিয়ে পড়েছে গঙ্গাপাড়ের ক্লাবের আইএসএল ম্যাচের গ্যালারিতে।
আরও মারাত্মক প্রীতম, দিমিত্রিদের হারের দিনে ক্লাবকর্তাদের মধ্যে বিভেদের পাঁচিল চওড়া হয়ে সামনে আসা। সবুজ-মেরুন সদস্য, সমর্থকদের ঘা শুকোতে ব্রেক দ্য মার্জারের দায় নিয়ে চেন্নাইয়ান ম্যাচে হারের দিনেই শুরু হয়ে গিয়েছে দায় ঠেলাঠেলি। অত্যুৎসাহী, অতি-প্রতিবাদীরা ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্তর বাড়ির সামনে হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিরোধিতায় শামিল হয়। যেটা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়।
ক্লাবের আন্দোলন ক্লাবের গণ্ডি ছাড়িয়ে ব্যক্তিবিশেষের বাড়িতে আছড়ে পড়ার বিরোধিতা করি আমরাও। কিন্তু এরপর যেটা ঘটল, সেটাও কি সমর্থনযোগ্য? কোনও যুক্তি, কোনও অঙ্কেই তা সমর্থন করার নয়। ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে দায়মুক্ত হতে চাইলেন বর্তমান শাসক গোষ্ঠী। কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা হল প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বোসকে। সহ-সচিব সত্যজিত চট্টোপাধ্যায়ের নামে প্রচারিত প্রেস রিলিজের মোদ্দা কথা হল, এটিকে-র সঙ্গে মোহনবাগানের মার্জার সম্পন্ন হয়েছে বিগত কমিটির অধীনে, যখন ক্লাবের সচিবের চেয়ারে ছিলেন না দেবাশিস দত্ত।
দুই বিঘা জমি কবিতা লিরিক্স